সুনামগঞ্জ , বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
৯ ধরনের মামলার আগে মধ্যস্থতা বাধ্যতামূলক দুই মাসের মধ্যে সব খাস জমির হিসাব নেওয়া হবে : পরিকল্পনা উপদেষ্টা সীমান্তে ১২ লাখ টাকার ভারতীয় গরু জব্দ চার আদিবাসী গ্রামে সুপেয় পানির সংকট সুরমার তীরে ময়লার ভাগাড় টাঙ্গুয়ার ‘দম যায় যায়’ অবস্থা দলগুলোর মতানৈক্য : মাঠে গড়াচ্ছে রাজনীতি পূর্ব ও পশ্চিম নতুনপাড়ার জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবি শিশুশ্রম মুক্ত আদর্শ সুনামগঞ্জ পৌরসভা ঘোষণা বিষয়ে সভা দেখার হাওরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস নয় পথে যেতে যেতে : পথচারী হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় গেলেন নুর ‘ফুল স্পিডে’ চলছে সংসদ নির্বাচনের কেনাকাটা ভূমিকম্পে তেঘরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের ১০ স্থানে ফাটল সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের কাছে দায়িত্ব হস্থান্তর ফেব্রুয়ারিতে মহোৎসবের নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা এক ইউপি সদস্য ১৩ প্রকল্পের সভাপতি! জমে উঠেছে দিরাই বাজার মহাজন সমিতির নির্বাচন দুর্ঘটনায় জেলা প্রশাসনের দুই কর্মীর মৃত্যু, চালকের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন তারেক রহমান দ্রুত দেশে ফিরবেন : লুৎফুজ্জামান বাবর

জলমহাল নিয়ে পাল্টাপাল্টি হামলা প্রসঙ্গে

  • আপলোড সময় : ১১-১১-২০২৪ ০৩:২৯:১৪ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১১-১১-২০২৪ ০৩:২৯:১৪ অপরাহ্ন
জলমহাল নিয়ে পাল্টাপাল্টি হামলা প্রসঙ্গে
গণমাধ্যমান্তরে সংবাদ সম্প্রচারিত হয়েছে যে, জলমহালে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগসহ পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটছে। বলা হয়েছে, সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা ও মধ্যনগর এলাকায় বিগত ২৫ বছরে জলমহাল ঘুরেফিরে শাসন করেছেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এই দুই দলের প্রভাবশালীরা। বিএনপির শাসনামলে বিএনপি নেতারা, আওয়ামী লীগের শাসনামলে আওয়ামী লীগের নেতারা জলমহাল দখলে ছিলেন। বিগত সময়ে কোথাও নামেমাত্র রাজস্ব দিয়ে, কোথাওবা রাজস্ব ছাড়াই হয়েছে অনেক জলমহাল লুটপাট। একজন বলেছেন, ‘মোকারম শুনেছি বিভিন্ন জলমহাল ইজারা নিয়ে টুকরো টুকরো করে বিক্রয় করেছে। ভৈরবের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকেও ৩৫ লাখ টাকা এনেছে। সে জলমহালে শেয়ার দেবার কথা বলে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে দুই কোটি [টাকা] হাতিয়ে নিয়েছে।’ এবংবিধ সংবাদে প্রতিপন্ন হয় যে, প্রকৃতপ্রস্তাবে জলমহালগুলো ব্যক্তিগত সম্পত্তির মতো হয়ে গেছে কেবল নয়, বরং পুরনো ইজারানীতিই প্রকারান্তরে বহাল আছে। পুরনো ইজারানীতি মোতাবেক ব্যক্তি বিশেষকে ইজারা দেওয়া হতো। পরে এই নীতি বদলে ব্যক্তিবিশেষের বদলে মৎস্যজীবী সমিতিকে ইজারা দেওয়ার নীতি প্রবর্তন করা হয় এবং প্রকারান্তরে এই নতুন নীতিটি হয়ে দাঁড়ায় সমিতির নামে ইজারা নিয়ে রাজনীতিক প্রভাবশালীদের জলমহাল দখলের নীতি। লক্ষণীয় যে, জলমহালের দখল-বেদখল নিয়ে পারস্পরিক অভিযোগ ও সংঘর্ষ-হামলার ঘটনাগুলো কিন্তু বিবদমান দুই মৎস্যজীবী সমিতির মধ্যে সংঘটিত হয় নি বা হচ্ছে না। অর্থাৎ কাগজে নাহলেও বাস্তবে জলমহালের দখলে আছেন কোন না কোনও ব্যক্তি, কোনও মৎস্য সমিতি নয়। অথচ সরকার থেকে প্রতিটি জলমহাল কোনও না কোনও মৎস্যজীবী সমিতিকে ইজারানীতি মেনে ইজারা দেওয়া হয়েছে। সত্যিকার অর্থে একেই বলে রাজনীতিক কেরদানি, যে-কেরদানির জোরে মৎস্যজীবী সমিতির নামে দেওয়া জলমহাল প্রভাশালীর দখলে চলে যায়। এমতাবস্থায় অনেকেই মনে করেন বর্তমান কার্যকর জলমহাল ইজারানীতি বাতিল করে নতুন নীতি প্রবর্তন করা দরকার। প্রভাবশালীদের জলমহাল দখলের প্রবণতারোধী জলমহাল ইজারানীতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার অবকাশ এখানে নেই। কেবল বলি, নীতিটি এমন হতে হবে যাতে করে মৎস্যজীবী সমিতির নামে প্রভাবশালীরা জলমহাল দখলের কোনও সুযোগ না পায়।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স